চলুন জেনে নেই বিভিন্ন ধরনের পিসি মনিটর ও এগুলোর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে
আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মনিটর (Monitor) ক্রয় করি।তবে এসব মনিটরের মাঝে কোন মনিটর টি ভালো মানের মনিটর তা কি আমরা জানি বা মনিটর কেনার সময় কোন কোন বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয় সেই বিষয়গুলো কি আমরা জানি?
চলুন জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে l
মনিটরের ধরনঃ মনিটর সাধারণত স্কয়ার কিংবা ওয়াইড স্ক্রিনের হয়ে থাকে। যদি আপনি প্রফেশনাল কোন কাজের জন্য মনিটর কিনতে চান যেমন প্রোগ্রামিং কিংবা লেখালেখি তাহলে স্কয়ার মনিটর কিনতে পারেন। কিন্তু যদি মুভি দেখা কিংবা সাধারন কাজগুলোর জন্য মনিটর কিনতে চান তাহলে ওয়াইড স্ক্রিনের মনিটরই আপনার জন্য উপযুক্ত।
এলসিডি/এলইডিঃ এলসিডি মনিটর প্রতিটি ছবিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরল স্বচ্ছ আলো দ্বারা পরিপূর্ণ করে। অন্যদিকে এলইডি মনিটরে "লাইট এমিটিং ডায়ডস" বা এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা পর্দাকে অনেক বেশি আলোকিত করে। এলইডি মনিটরগুলো এলসিডি মনিটরের তুলনায় অনেক স্বচ্ছ এবং উজ্জ্বল ছবি প্রদান করে। সুতরাং ভালো অভিজ্ঞতা পেতে এলইডি মনিটর কেনাই শ্রেয়।
আইপিএসঃ আইপিএস প্রযুক্তির মনিটরগুলো আরও ঘন কালো এবং সঠিক রঙ প্রদর্শন করে যা এলসিডি কিংবা এলইডি থেকে অনেক উন্নত। ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্সের কাজ কিংবা গেমিং করার জন্য এই মনিটরগুলো বেশ জনপ্রিয়।
টাচস্ক্রিনঃ বর্তমান মনিটরগুলোতে ইতোমধ্যেই টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি চলে এসেছে। স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের মত সহজেই স্ক্রিনে টাচ করে ছবি দেখা, গেম খেলা কিংবা যেকোনো সফটওয়্যার চালু করা যায়। তবে টাচস্ক্রিন মনিটরের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
স্ক্রিন সাইজঃ ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেইল করা, ছবি শেয়ার করা কিংবা এমএস ওয়ার্ড অফিসে ব্যবহার করার জন্য ২০ ইঞ্চি কিংবা তার ছোট সাইজের মনিটরই যথেষ্ট। কিন্তু বাসায় মুভি দেখা কিংবা গেম খেলার জন্য একটু ভালো অভিজ্ঞতা পেতে ২১-২৬ ইঞ্চির মনিটর কিনতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল গেমার, ফটোগ্রাফার কিংবা গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করেন তাহলে ২৭ ইঞ্চি কিংবা এর চেয়ে বড় মাপের মনিটর নিতে পারেন যা আপনার কাজের জন্য সহায়ক হবে।
রেজুলেসনঃ রেজুলেসন পিক্সেলের সাহাজ্যেই হিসেব করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন রেজুলেসনের মনিটর পাওয়া যাচ্ছে। এইচডি - ১৩৬৬ x ৭৬৮ পিক্সেল, এইচডি - ১৬০০ x ৯০০ পিক্সেল, ফুল এইচডি - ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল, কোয়াড এইচডি - ২৫৬০ x ১৪৪০ পিক্সেল এবং ৪কে আলট্রা এইচডি - ৩৮৪০ x ২১৬০ পিক্সেল। একটি মনিটরের পিক্সেল যত বেশি হবে সেই মনিটরটি তত নিঁখুত ছবি দেখাতে সমর্থ হবে।
রিফ্রেশ রেটঃ প্রতি সেকেন্ডে দেখানো ফ্রেমের সংখাকে রিফ্রেশ রেট বলা হয়। বর্তমানে মনিটরগুলোতে হার্জ (Hz) এর সাহায্যে রিফ্রেশ রেট বোঝানো হয়। যেমন ৬০ হার্জ এর একটি মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ৬০টি ফ্রেম দেখাতে সমর্থ হয় আবার ১২০ হার্জ এর একটি মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ১২০টি ফ্রেম দেখাতে পারে। অর্থাৎ রিফ্রেশ রেট কম হলে ছবি ঘোলা আসে কিংবা অনেক সময় কাপা কাপা আসে। সুতরাং বেশি রিফ্রেশ রেট আছে এমন মনিটর কেনাই ভালো।
কানেক্টরঃ এইচডিএমআই, কম্পনেন্ট ভিডিও, আরসিএ কানেক্টর, ডিভিআই কানেক্টর এবং ভিজিএ কানেক্টর ইত্যাদি কানেকশন সিস্টেমগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই মনিটর কেনার আগে এই সকল পোর্ট সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিন।
অন্যান্যঃ উপরের বিষয়গুলোর পরও আরও কিছু জিনিস খেয়াল করতে পারেন যেমন মনিটরের স্ট্যান্ড এডজাস্ট করা যায় কিনা, পাওয়ার সেভিং মোড আছে কিনা, দেওয়ালে লাগানোর ব্যবস্থা আছে কিনা এছাড়াও ওয়ারেন্টি কত দিনের ইত্যাদি।
-শাহীন আহামেদ
Post tag:
Monitor
Lcd monitor
Led monitor
pc monitor
চলুন জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে l
মনিটরের ধরনঃ মনিটর সাধারণত স্কয়ার কিংবা ওয়াইড স্ক্রিনের হয়ে থাকে। যদি আপনি প্রফেশনাল কোন কাজের জন্য মনিটর কিনতে চান যেমন প্রোগ্রামিং কিংবা লেখালেখি তাহলে স্কয়ার মনিটর কিনতে পারেন। কিন্তু যদি মুভি দেখা কিংবা সাধারন কাজগুলোর জন্য মনিটর কিনতে চান তাহলে ওয়াইড স্ক্রিনের মনিটরই আপনার জন্য উপযুক্ত।
এলসিডি/এলইডিঃ এলসিডি মনিটর প্রতিটি ছবিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তরল স্বচ্ছ আলো দ্বারা পরিপূর্ণ করে। অন্যদিকে এলইডি মনিটরে "লাইট এমিটিং ডায়ডস" বা এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যা পর্দাকে অনেক বেশি আলোকিত করে। এলইডি মনিটরগুলো এলসিডি মনিটরের তুলনায় অনেক স্বচ্ছ এবং উজ্জ্বল ছবি প্রদান করে। সুতরাং ভালো অভিজ্ঞতা পেতে এলইডি মনিটর কেনাই শ্রেয়।
আইপিএসঃ আইপিএস প্রযুক্তির মনিটরগুলো আরও ঘন কালো এবং সঠিক রঙ প্রদর্শন করে যা এলসিডি কিংবা এলইডি থেকে অনেক উন্নত। ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্সের কাজ কিংবা গেমিং করার জন্য এই মনিটরগুলো বেশ জনপ্রিয়।
টাচস্ক্রিনঃ বর্তমান মনিটরগুলোতে ইতোমধ্যেই টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি চলে এসেছে। স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটের মত সহজেই স্ক্রিনে টাচ করে ছবি দেখা, গেম খেলা কিংবা যেকোনো সফটওয়্যার চালু করা যায়। তবে টাচস্ক্রিন মনিটরের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
স্ক্রিন সাইজঃ ওয়েব ব্রাউজিং, ই-মেইল করা, ছবি শেয়ার করা কিংবা এমএস ওয়ার্ড অফিসে ব্যবহার করার জন্য ২০ ইঞ্চি কিংবা তার ছোট সাইজের মনিটরই যথেষ্ট। কিন্তু বাসায় মুভি দেখা কিংবা গেম খেলার জন্য একটু ভালো অভিজ্ঞতা পেতে ২১-২৬ ইঞ্চির মনিটর কিনতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রফেশনাল গেমার, ফটোগ্রাফার কিংবা গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করেন তাহলে ২৭ ইঞ্চি কিংবা এর চেয়ে বড় মাপের মনিটর নিতে পারেন যা আপনার কাজের জন্য সহায়ক হবে।
রেজুলেসনঃ রেজুলেসন পিক্সেলের সাহাজ্যেই হিসেব করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন রেজুলেসনের মনিটর পাওয়া যাচ্ছে। এইচডি - ১৩৬৬ x ৭৬৮ পিক্সেল, এইচডি - ১৬০০ x ৯০০ পিক্সেল, ফুল এইচডি - ১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেল, কোয়াড এইচডি - ২৫৬০ x ১৪৪০ পিক্সেল এবং ৪কে আলট্রা এইচডি - ৩৮৪০ x ২১৬০ পিক্সেল। একটি মনিটরের পিক্সেল যত বেশি হবে সেই মনিটরটি তত নিঁখুত ছবি দেখাতে সমর্থ হবে।
রিফ্রেশ রেটঃ প্রতি সেকেন্ডে দেখানো ফ্রেমের সংখাকে রিফ্রেশ রেট বলা হয়। বর্তমানে মনিটরগুলোতে হার্জ (Hz) এর সাহায্যে রিফ্রেশ রেট বোঝানো হয়। যেমন ৬০ হার্জ এর একটি মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ৬০টি ফ্রেম দেখাতে সমর্থ হয় আবার ১২০ হার্জ এর একটি মনিটর প্রতি সেকেন্ডে ১২০টি ফ্রেম দেখাতে পারে। অর্থাৎ রিফ্রেশ রেট কম হলে ছবি ঘোলা আসে কিংবা অনেক সময় কাপা কাপা আসে। সুতরাং বেশি রিফ্রেশ রেট আছে এমন মনিটর কেনাই ভালো।
কানেক্টরঃ এইচডিএমআই, কম্পনেন্ট ভিডিও, আরসিএ কানেক্টর, ডিভিআই কানেক্টর এবং ভিজিএ কানেক্টর ইত্যাদি কানেকশন সিস্টেমগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই মনিটর কেনার আগে এই সকল পোর্ট সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিন।
অন্যান্যঃ উপরের বিষয়গুলোর পরও আরও কিছু জিনিস খেয়াল করতে পারেন যেমন মনিটরের স্ট্যান্ড এডজাস্ট করা যায় কিনা, পাওয়ার সেভিং মোড আছে কিনা, দেওয়ালে লাগানোর ব্যবস্থা আছে কিনা এছাড়াও ওয়ারেন্টি কত দিনের ইত্যাদি।
-শাহীন আহামেদ
Post tag:
Monitor
Lcd monitor
Led monitor
pc monitor